BEST BEAUTY TIPS FOR MAN AND WOMEN

I WILL PROVIDE BEST REAL TIPS FOR MAN AND WOMEN. THAT IS MUST BE NEED FOR YOU.

প্রতিদিন এক গ্লাস করে গাজরের রস খেলে ত্বকের কত উপকার হয় জানা আছে?

কথায় বলে সৌন্দর্য হল সেই অস্ত্র, যার সাহায্যে যে কোনও বাঁধাকে কেটে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। জয় করা সম্ভব যে কোনও শৃঙ্গ। তাই তো সুন্দরি হয়ে ওঠার স্বপ্ন মনে নিয়ে দিনের পর দিন ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করা মহিলাদের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। যার প্রমাণ গত কয়েক দশকে বৃদ্ধি পাওয়া ফেয়ারনেস ক্রিমের বাজার। কিন্তু ভয়টা কোথায় জানেন? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দিনের পর দিন ধরে কেমিকেল মিশ্রিত এই ধরনের ক্রিম মুখে লাগালে ত্বক কতটা ফর্সা হয়ে ওঠে, তা তো জানা নেই। কিন্তু স্কিনের যে মারাত্মক ক্ষতি হয়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই এখন প্রশ্ন হল, কোনও ভাবেই কি তাহলে ফর্সা ত্বকের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়?

কে বলেছে! আলবাৎ সম্ভব। তবে ক্রিম ব্যবহার করে নয়। তাহলে? এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে গাজরকে। তাহলেই দেখবেন চোখের সামনে পূরণ হবে স্বপ্ন। এক্ষেত্রে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটার মধ্যে দিয়ে ত্বক ফর্সা তো হয়ে উঠবেই, মিলবে আরও বেশ কিছু উপকার মিলবে। যেমন ধরুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকে, হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে এবং দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটবে চোখে পরার মতো। এখন প্রশ্ন হল গাজর খাওয়ার সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাওয়ার কী সম্পর্ক? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে গাজরে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম, ভিটামিন কে এবং আরও অনেক উপকারি উপাদান ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু পরিবর্তন ঘটে যে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে...

১. ত্বকের যে কোনও দাগ মিলিয়ে যায়: গাজরের অন্দরে উপস্থিত পটাশিয়াম, ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করার পর কোষেদের কর্মক্ষমতা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে মুখের যে কোনও দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্কিনের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। ফলে সুন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো।

২. ব্রণর প্রকোপ কমে: সারা মুখ কি ব্রণয় ভরে গেছে? এমন অবস্থায় কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? কোনও চিন্তা নেই! নিয়মিত গাজরের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই ব্রণর প্রকোপ একেবারে কমে যাবে। আসলে গাজরের অন্দরে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানদের বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারাও মরতে শুরু করে। ফলে ব্রণর মতো ত্বকের সমস্যা বাগে আসতে সময় লাগে না।

৩. ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর দেয়: শরীর বলুন কী ত্বক, তার সৌন্দর্য নির্ভর করে বেশ কতগুলি উপাদানের উপর, যার অন্যতম হল ভিটামিন। তাই ত্বকের অন্দরে যাতে কোনও সময় এই উপাদনটির ঘাটতি দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজে সাহায্য করতে পারে গাজর। কারণ এই সবজিটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, বিশেষত ভিটামিন এ, যা ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার মধ্যে দিয়ে স্কিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. পুড়ে যাওয়া ত্বকের পরিচর্যা করে: যা গরম পরেছে সারা রাজ্যজুড়ে, তাতে বাড়ির বাইরে বেরলেই যে ত্বকের বারোটা বাজবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এমন পরিস্থিতিতে ত্বক যাতে পুড়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখে গাজর। এই কারণেই তো গরম কালে ত্বকের সৌন্দর্যকে রক্ষা করতে নিয়মিত এক গ্লাস করে গাজরের রস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আসলে এই সবজিটির অন্দরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের অন্দরে একটি শক্তিশালী দেওয়াল তৈরি করে দেয়, যা সূর্যালোকের হাত থেকে স্কিনকে রক্ষা করে থাকে।

৫. ত্বকের বয়স কমে: গাজরে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন শরীরে প্রবেশ করার পর স্কিন সেলের ডিজেনারেশন যাতে দ্রুত না হয়, তা সুনিশ্চিত করে। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদনকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, বলিরেখা কমতে থাকার কারণে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতেও সময় লাগে না। তাই তো দ্রুত ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে চাইলে নিয়মিত গাজরের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডার্মাটোলজিস্টরা।

৬. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত গাজরের রস খাওয়া শুরু করলে স্কাল্পের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুলের গোড়া এতটাই শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে একদিকে যেমন হেয়ার ফলের মাত্রা কমে, তেমনি চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।


No comments:
Write Comments