BEST BEAUTY TIPS FOR MAN AND WOMEN

I WILL PROVIDE BEST REAL TIPS FOR MAN AND WOMEN. THAT IS MUST BE NEED FOR YOU.

নিয়মিত আনারস খেলে সত্যিই কি ত্বকের উপকার হয়?

বেশ কিছু গবেষণা দেখা গেছে রোজের ডায়েটে এই ফসলটিকে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে এমন কিছু উপকারি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন চোখে পরার মতো বেড়ে যায়। ফলে ফর্সা ত্বক পওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বকের সার্বিক সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।ভাববেন না আনারস শুধু ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, চিকিৎসকদের মতে এই ফলটি ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে। সেই সঙ্গে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতিতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে নিয়মিত আনারস খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং হজম ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি ঘটে। তাই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি যদি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে চান, তাহলে আনারসের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে ভুলবেন না যেন!তাহলে আর অপেক্ষা কেন, আনারস কী কী ভাবে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে আসতে পারে, চলুন জানার চেষ্টা করা যাক সে সম্পর্কে।               ১. ব্রণর প্রকোপ কমায়: এই ফলটির অন্দরে থাকা ভিটামিন সি, ত্বকের অন্দরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মেরে ফেলে। ফলে শুধু ব্রণ নয়, যে কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, আনারসে উপস্থিত ব্রমেলিন নামক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এনজাইমও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্রণর চিকিৎসায় নিয়মিত আনারসের রস খেতে হবে। সেই সঙ্গে আনারসকে কাজে লাগিয়ে বানানো ফেস প্যাক যদি মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
২. ত্বকের বয়স কমে: শরীরের বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স যেন না বাড়ে, এমনটা যদি চান, তাহলে সপ্তাহে কম করে ৩ দিন আনারস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ত্বকের বয়স তো কমবেই, সেই সঙ্গে স্কিন তুলতুলে এবং নরম হয়ে উঠবে। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান, ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বকের ইলাস্ট্রিসিটি যেমন বাড়ে, তেমনি সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। ফলে স্কিন এজিং-এর আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, আনারসে থাকা ভিটামিন সি এবং বেশ কিছু উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিডও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকের বয়স কমাতে আনারস খাওয়া যেমন শুরু করতে পারেন, তেমনি আনারসের রস মুখে লাগালেও সমান উপকার পাওয়া
৩. মৃত কোষের স্তর সরে যায়: প্রতি মুহূর্তে মৃত কোষেরা আমাদের ত্বকের উপর জনতে থাকে। এই কারণেই তো ত্বকের সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক যদি না চান, তাহলে নিয়মিত আনারস মুখে লাগান, দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে এমনটা করলে ডেড সেলের আবরণ সরে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৪. ফাটা গোড়ালির পরিচর্যায় কাজে আসে: শুধু শীতকাল কেন, অনেকেই আছেন যাদের সারা বছরই ফাটা গোড়ালির যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিম লাগানে ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু জানা আছে কি আনারসের বহিরাংশকে কাজে লাগিয়ে ফাটা গোড়ালির সমস্যাকে চিরতরে কমিয়ে ফেলা সম্ভব? একেবারেই ঠিক শুনেছেন! আনারসের অল্প পরিমাণ স্কিন নিয়ে গোড়ালিতে ঘষতে লাগলে এমন সমস্যা কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে গোড়ালির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৫. ত্বকের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ত্বক তার আদ্রতা হারালে বলিরেখা প্রকাশ পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে যদি আনারসকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার মেলে। আসলে এই ফলটি ত্বকের ভিতরে জল এবং পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিনের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। আর এমনটা হওয়া মাত্র ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে ৩ চামচ আনারসের সঙ্গে ডিমের কুসুম এবং অল্প পরিমাণ দুধ মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তা মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে হলকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে মুখটা।
৬. হেয়ার ফল কমায়: চুল পড়ার হার কি বেড়ে গেছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই আনারসকে কাজে লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। আসলে এই ফলটির অন্দরে থাকা ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়, সেই সঙ্গে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। এমনটা হওয়া মাত্র হেয়ার ফল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, হেয়ার ফল কমাতে প্রতিদিন এক বাটি করে আনারস খেতে হবে। এমনটা করলে ফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে।

No comments:
Write Comments