রূপচর্চা করতে আজকের দিনে কে না ভালোবাসে?
সেই প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চা শুধুমাত্র মেয়েদের ক্ষেত্রেই বেশি প্রয়োগ করে আসা হচ্ছে। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে, সাথে যুগ পাল্টেছে। মেয়েরা যেমন অন্দরমহল ছেড়ে ছেলেদের পাশাপাশি কাঁধ মিলিয়ে আকাশে প্লেন চালানো থেকে শুরু করে অফিসের ফাইল গোছানো বা যেকোনো সিদ্ধান্ত মূলক বড় কাজ বা উপদেষ্টা হিসেবে সমানে পাল্লা দিচ্ছে, তেমনি ছেলেরাও আজকের দিনে নিজেদের রূপ নিয়ে বা বলা ভালো রূপের খেয়াল রাখা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু রোজগার ব্যস্ত জীবনে দৌড়ঝাঁপ সামলে নিজের খেয়াল রাখার বা যত্ন নেওয়ার সময় টা কোথায়? আর আজকের দিনে প্রসাধনী বাজারের দেখতে গেলে মেয়েদের থেকে ছেলেদের জন্য প্রসাধনী দ্রব্য অনেকটাই কম। যদিও আজকাল অনেক সংস্থায় ছেলেদের জন্য নানা রূপচর্চার জিনিস নিয়ে আসছে। কিন্তু সমস্ত কাজ সামলে ছেলেদের পক্ষে রূপচর্চা করার সেই পরিমাণ সময় বা সুযোগ অনেক সময় হয়ে ওঠে না। ছেলেদের জন্য চাই চটজলদি কিছু সমস্যার সমাধান যার সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছেই মিলবে আবার বানানো সহজ ভাবে বা প্রয়োগ করা সহজ হবে। আজকে তাই আমাদের তরফ থেকে আজকের আলোচনায় রাখা হল তেমনি কিছু সহজ সাধারণ টিপস যা ছেলেদের নিজের যত্ন নিতে অনেকটাই সাহায্য করবে সেটা নিজেদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে হোক বা নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে।
১. জামা কাপড় জামা কাপড়ের সম্ভারের উপর মেয়ে বা ছেলে সবারই সমান আকর্ষণ থাকে। নতুন নতুন জামা ওরে নিজের কর্মস্থলে যেতে ভালো লাগে। কিন্তু রোজ নতুন নতুন জামা কোথায় পাবেন? আবার অফিস নতুন হোক বা পুরনো একই দিনের পর দিন পরে এলে অনেকের হাসিঠাট্টার কারণও হতে পারেন বা কিপটে বলে তকমাও জুটতে পারে। কাজের জায়গায় জামা কাপড়ের যদি কোন ড্রেস কোড না থাকে তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করুন ফরমাল ড্রেস পরে যাওয়ার। অনেকেই ক্যাজুয়াল ড্রেস বেশি পছন্দ করেন কারণ তাতে হয়তো স্বাচ্ছন্দ বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু ফরমাল ড্রেসে আপনার ব্যক্তিত্ব অনেক বেশি ফুটে ওঠে। ডিপ কালার বা হালকা কালার এটাই আপনার পছন্দ হোক না কেন, সব সময় চেষ্টা করুন কালারের আলাদা আলাদা শেড কেনার। তাতে করে আপনার অন্য লোকজন যারা আপনাকে দেখছে তাদের চোখে আপনার ড্রেসকোড কখনো একঘেয়েমির কারন হবে না।
২. হ্যাঙ্গার ব্যবহার করুন জামা অনেকেই আছেন অফিস থেকে ফিরে ক্লান্তিতে বিছানা বা ওয়ার্ড্রোবে ফেলে দিয়ে অন্য কাজ সারতে থাকেন। কখনোই এটা করবেন না। জামা কাপড় সবসময় ঝুলিয়ে রাখুন। এতে রোজ ইস্ত্রি করার সময় না পেলেও জামা কাপড়ে ভাঁজ আসবে না। একইভাবে শীতের পোশাক বিশেষত সোয়েটার ঝুলিয়ে রাখবেন না। অনেক সময় দীর্ঘদিন ঝুলে থাকলে তার ফিটিংস নষ্ট হতে পারে।
৩. জুতো পাল্টান অনেকেই আছে যার পা অতিরিক্ত ঘামে। ফলে জুতো কিছুক্ষণ পরার পরে ঘাম বসে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। অফিসে বা কোথাও গেলে এই সমস্যা বেশি হয়। সেক্ষেত্রে বাড়ি ফেরার পর জুতোর মধ্যে ন্যাপথলিন রেখে দিন বা কর্পূরের একটা টুকরো। গন্ধ কেটে যাবে। এছাড়াও বেরোনোর আগে পায়ের তলায় ভেসলিন মাখিয়ে নিন। তবে সাথে এটাও চেষ্টা করুন অন্তত দু জোড়া জুতো রাখার। একই জুতো টানা পরতে থাকলে সেটা নোংরা হয়ে গন্ধ হতে থাকে বেশি মাত্রায়।
৪. শেভিং চেষ্টা করুন নিয়মিত শেভ করার। যদি দাড়ি রাখতে পছন্দ করেন তবে অবশ্যই ট্রিম করুন। আপনার দাড়ির জন্যে ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। ক্লিন শেভ করতে চাইলে অবশ্যই দাড়ি কাটার আগে ক্লিনজার এবং টোনার ব্যবহার করুন। অনেকে দাড়ি কাটতে গিয়ে কেটে ফেলেন। হাতের কাছে কিছু না থাকলে ফিটকিরি লাগান।
৫. খুসকি এটা এমন একটা জিনিস যাতে ছেলে মেয়ে সবাই ভুগতে থাকেন। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করুন। চেষ্টা করুন হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করার। অতিরিক্ত খুসকি হলে স্নান করার দশ মিনিট আগে লেবু আর টকদই মিশিয়ে মাথায় মাখুন। খুশকির হাত থেকে রেহাই পাবেন। সময় সময়ে চুল কাটুন ভালো পরিষ্কার জায়গা থেকে। কাটার সময় অবশ্যই নিজের মুখের সাথে মানাচ্ছে কিনা তা যাচাই করুন।
৬. জামাকাপড় কাচা আপনি নিজের জন্যে পছন্দ করে জামা কাপড় কিনছেন। অবশ্যই চাইবেন না তার রঙ বা গঠন তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাক। চেষ্টা করুন সব সময় নিজের হাতে কাচার। ওয়াশিং মেশিনে ধুলে জামাকাপড়ের গঠন নষ্ট হয়ে যায়। একইভাবে কখনোই সরাসরি সূর্যের আলোয় শুকাতে দেবেন না। এতে কাপড়ের একই ক্ষতি হয়।
অনেকের শীতকালে পায়ের বা হাতের চামড়া ওঠে। দেখতে বাজে লাগে অনেকের। কিন্তু চটজলদি সমাধান খুঁজে পান না। এরকম হলে একটা পাত্রে জল নিয়ে তাতে পরিমাণ মত বেকিং সোডা মেশান। পা বা হাত কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। কাজ দেবে। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক লাগলে বা বাজারের ক্রিমে অ্যালার্জি হলে মুখে শুতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা জেল মাখুন গাছ থেকে নিয়ে। অফিস থেকে ফেরার পর মুখ ধুয়ে মুখে লেবু আর মধু মাখুন। ক্রিম মাখার দরকার আর হবে না।
সেই প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চা শুধুমাত্র মেয়েদের ক্ষেত্রেই বেশি প্রয়োগ করে আসা হচ্ছে। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে, সাথে যুগ পাল্টেছে। মেয়েরা যেমন অন্দরমহল ছেড়ে ছেলেদের পাশাপাশি কাঁধ মিলিয়ে আকাশে প্লেন চালানো থেকে শুরু করে অফিসের ফাইল গোছানো বা যেকোনো সিদ্ধান্ত মূলক বড় কাজ বা উপদেষ্টা হিসেবে সমানে পাল্লা দিচ্ছে, তেমনি ছেলেরাও আজকের দিনে নিজেদের রূপ নিয়ে বা বলা ভালো রূপের খেয়াল রাখা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু রোজগার ব্যস্ত জীবনে দৌড়ঝাঁপ সামলে নিজের খেয়াল রাখার বা যত্ন নেওয়ার সময় টা কোথায়? আর আজকের দিনে প্রসাধনী বাজারের দেখতে গেলে মেয়েদের থেকে ছেলেদের জন্য প্রসাধনী দ্রব্য অনেকটাই কম। যদিও আজকাল অনেক সংস্থায় ছেলেদের জন্য নানা রূপচর্চার জিনিস নিয়ে আসছে। কিন্তু সমস্ত কাজ সামলে ছেলেদের পক্ষে রূপচর্চা করার সেই পরিমাণ সময় বা সুযোগ অনেক সময় হয়ে ওঠে না। ছেলেদের জন্য চাই চটজলদি কিছু সমস্যার সমাধান যার সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছেই মিলবে আবার বানানো সহজ ভাবে বা প্রয়োগ করা সহজ হবে। আজকে তাই আমাদের তরফ থেকে আজকের আলোচনায় রাখা হল তেমনি কিছু সহজ সাধারণ টিপস যা ছেলেদের নিজের যত্ন নিতে অনেকটাই সাহায্য করবে সেটা নিজেদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে হোক বা নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে।
১. জামা কাপড় জামা কাপড়ের সম্ভারের উপর মেয়ে বা ছেলে সবারই সমান আকর্ষণ থাকে। নতুন নতুন জামা ওরে নিজের কর্মস্থলে যেতে ভালো লাগে। কিন্তু রোজ নতুন নতুন জামা কোথায় পাবেন? আবার অফিস নতুন হোক বা পুরনো একই দিনের পর দিন পরে এলে অনেকের হাসিঠাট্টার কারণও হতে পারেন বা কিপটে বলে তকমাও জুটতে পারে। কাজের জায়গায় জামা কাপড়ের যদি কোন ড্রেস কোড না থাকে তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করুন ফরমাল ড্রেস পরে যাওয়ার। অনেকেই ক্যাজুয়াল ড্রেস বেশি পছন্দ করেন কারণ তাতে হয়তো স্বাচ্ছন্দ বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু ফরমাল ড্রেসে আপনার ব্যক্তিত্ব অনেক বেশি ফুটে ওঠে। ডিপ কালার বা হালকা কালার এটাই আপনার পছন্দ হোক না কেন, সব সময় চেষ্টা করুন কালারের আলাদা আলাদা শেড কেনার। তাতে করে আপনার অন্য লোকজন যারা আপনাকে দেখছে তাদের চোখে আপনার ড্রেসকোড কখনো একঘেয়েমির কারন হবে না।
২. হ্যাঙ্গার ব্যবহার করুন জামা অনেকেই আছেন অফিস থেকে ফিরে ক্লান্তিতে বিছানা বা ওয়ার্ড্রোবে ফেলে দিয়ে অন্য কাজ সারতে থাকেন। কখনোই এটা করবেন না। জামা কাপড় সবসময় ঝুলিয়ে রাখুন। এতে রোজ ইস্ত্রি করার সময় না পেলেও জামা কাপড়ে ভাঁজ আসবে না। একইভাবে শীতের পোশাক বিশেষত সোয়েটার ঝুলিয়ে রাখবেন না। অনেক সময় দীর্ঘদিন ঝুলে থাকলে তার ফিটিংস নষ্ট হতে পারে।
৩. জুতো পাল্টান অনেকেই আছে যার পা অতিরিক্ত ঘামে। ফলে জুতো কিছুক্ষণ পরার পরে ঘাম বসে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। অফিসে বা কোথাও গেলে এই সমস্যা বেশি হয়। সেক্ষেত্রে বাড়ি ফেরার পর জুতোর মধ্যে ন্যাপথলিন রেখে দিন বা কর্পূরের একটা টুকরো। গন্ধ কেটে যাবে। এছাড়াও বেরোনোর আগে পায়ের তলায় ভেসলিন মাখিয়ে নিন। তবে সাথে এটাও চেষ্টা করুন অন্তত দু জোড়া জুতো রাখার। একই জুতো টানা পরতে থাকলে সেটা নোংরা হয়ে গন্ধ হতে থাকে বেশি মাত্রায়।
৪. শেভিং চেষ্টা করুন নিয়মিত শেভ করার। যদি দাড়ি রাখতে পছন্দ করেন তবে অবশ্যই ট্রিম করুন। আপনার দাড়ির জন্যে ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। ক্লিন শেভ করতে চাইলে অবশ্যই দাড়ি কাটার আগে ক্লিনজার এবং টোনার ব্যবহার করুন। অনেকে দাড়ি কাটতে গিয়ে কেটে ফেলেন। হাতের কাছে কিছু না থাকলে ফিটকিরি লাগান।
৫. খুসকি এটা এমন একটা জিনিস যাতে ছেলে মেয়ে সবাই ভুগতে থাকেন। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করুন। চেষ্টা করুন হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করার। অতিরিক্ত খুসকি হলে স্নান করার দশ মিনিট আগে লেবু আর টকদই মিশিয়ে মাথায় মাখুন। খুশকির হাত থেকে রেহাই পাবেন। সময় সময়ে চুল কাটুন ভালো পরিষ্কার জায়গা থেকে। কাটার সময় অবশ্যই নিজের মুখের সাথে মানাচ্ছে কিনা তা যাচাই করুন।
৬. জামাকাপড় কাচা আপনি নিজের জন্যে পছন্দ করে জামা কাপড় কিনছেন। অবশ্যই চাইবেন না তার রঙ বা গঠন তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাক। চেষ্টা করুন সব সময় নিজের হাতে কাচার। ওয়াশিং মেশিনে ধুলে জামাকাপড়ের গঠন নষ্ট হয়ে যায়। একইভাবে কখনোই সরাসরি সূর্যের আলোয় শুকাতে দেবেন না। এতে কাপড়ের একই ক্ষতি হয়।
অনেকের শীতকালে পায়ের বা হাতের চামড়া ওঠে। দেখতে বাজে লাগে অনেকের। কিন্তু চটজলদি সমাধান খুঁজে পান না। এরকম হলে একটা পাত্রে জল নিয়ে তাতে পরিমাণ মত বেকিং সোডা মেশান। পা বা হাত কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। কাজ দেবে। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক লাগলে বা বাজারের ক্রিমে অ্যালার্জি হলে মুখে শুতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা জেল মাখুন গাছ থেকে নিয়ে। অফিস থেকে ফেরার পর মুখ ধুয়ে মুখে লেবু আর মধু মাখুন। ক্রিম মাখার দরকার আর হবে না।
No comments:
Write Comments