আজকের ডেটে সবাই সুন্দরি হয়ে উঠতে চান। তাই না গত কয়েক দশকে ফেয়ারনেস ক্রিমের বাজার এত চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে এইসব ক্রিম মোটেও স্কিন টোনের উন্নতি ঘটাতে পারে না, বরং ধীরে ধীরে অবনতি ঘটায় ত্বকের স্বাস্থ্যের। তাই বাস্তবিকই যদি সুন্দরি হয়ে উঠতে চান, তাহলে কেমিকাল মেশানো ক্রিম ব্যবহার বন্ধু করুন। পরিবর্তে কাজে লাগাতে শুরু করুন তরমুজকে। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কিন্তু তরমুজের সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়া বা কমার কি সম্পর্ক? দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এই ফলটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং বি। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, পটাশিয়াম, উপকারি ফ্যাট এবং আরও অনেক উপকারি উপাদান, যা শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, তেমনি দেহের অন্দরে প্রদাহ কমাতে, ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখতে, পেশির কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ত্বককে ফর্সা করে তোলার পাশাপাশি একাধিক ত্বকের রোগের চিকিৎসাতে এই ফলটি দারুনভাবে কাজে আসে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...
১. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজের অন্দরে উপস্থিত আর্জিনাইন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর সারা দেহের পাশাপাশি চুলের গোড়াতেও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে চুল পড়ার হারও কমতে থাকে। তাই অল্প বয়সেই যদি টাকলু হয়ে যেতে না চান, তাহলে এই গরমে নিয়মিত তরমুজ খেতে ভুলবেন
২. নানাবিধ স্কাল্পের রোগের প্রকোপ কমে: তরমুজে উপস্থিত ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তকে পরিশুদ্ধ করে। সেই সঙ্গে আয়রনের মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলে, যার প্রভাবে স্কাল্পের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। ফলে একদিকে যেমন চুলের বৃদ্ধি ঘটে, তেমনি নানা ধরনের স্কাল্পের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ত্বক এবং চুলের অন্দরে কোলাজেনের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সময় লাগে না।
৩. স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে: স্কাল্প তার আদ্রতা হারালে খুশকির মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই চুলের গোড়া কখনও যাতে শুষ্ক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! তরমুজের বীজ থেকে তৈরি তেল নিয়ে ভাল করে স্কাল্পে লাগিয়ে মাসাজ করুন। এমনটা নিয়মিত করলে দেখবেন স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। ফলে খুশকির সমস্য়া মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমবে।
৪. ত্বকের বয়স কমায়: নিয়মিত এই ফলটি খাওয়া শুরু করলে দেহের পাশাপাশি ত্বকের অন্দরে জলের মাত্রা বাড়াতে শুরু করে। ফলে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়। আর যত এমনটা হয়, তত বলিরেখা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। যে কারণে বুড়িয়ে যাওয়া ত্বক পুনরায় সুন্দর এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৫. স্কিন টোনারের কাজ করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজের অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান দেহের অন্দরে প্রবেশ করার পর কোষেদের ক্ষত দূর করে। সেই সঙ্গে নতুন কোষেদের জন্ম হারকেও বাড়িয়ে তোলে। আর স্কিন সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না। তাই এই গরমে শরীর এবং ত্বককে চাঙ্গা রাখতে সকাল-বিকাল এক বাটি করে তরমুজ খেতে ভুলবেন না যেন!
৬. ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায়: আপনার ত্বক কি বেজায় তেলতেলে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই তরমুজ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতেনাতে। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন এ, স্কিন পোরের সাইজ কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের ক্ষরণ কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে তেলতেলে ত্বকের সমস্যা কমতে সময় লাগে না।
৭. ব্রণর প্রকোপ কমায়: এই ত্বকের রোগটির কারণে কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু যত শীঘ্র সম্ভব রোজের ডায়েটে তরমুজকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে এই ফলটি অন্দরে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে ব্রণর প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
১. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজের অন্দরে উপস্থিত আর্জিনাইন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর সারা দেহের পাশাপাশি চুলের গোড়াতেও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে চুল পড়ার হারও কমতে থাকে। তাই অল্প বয়সেই যদি টাকলু হয়ে যেতে না চান, তাহলে এই গরমে নিয়মিত তরমুজ খেতে ভুলবেন
২. নানাবিধ স্কাল্পের রোগের প্রকোপ কমে: তরমুজে উপস্থিত ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তকে পরিশুদ্ধ করে। সেই সঙ্গে আয়রনের মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলে, যার প্রভাবে স্কাল্পের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। ফলে একদিকে যেমন চুলের বৃদ্ধি ঘটে, তেমনি নানা ধরনের স্কাল্পের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ত্বক এবং চুলের অন্দরে কোলাজেনের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সময় লাগে না।
৩. স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে: স্কাল্প তার আদ্রতা হারালে খুশকির মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই চুলের গোড়া কখনও যাতে শুষ্ক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! তরমুজের বীজ থেকে তৈরি তেল নিয়ে ভাল করে স্কাল্পে লাগিয়ে মাসাজ করুন। এমনটা নিয়মিত করলে দেখবেন স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। ফলে খুশকির সমস্য়া মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমবে।
৪. ত্বকের বয়স কমায়: নিয়মিত এই ফলটি খাওয়া শুরু করলে দেহের পাশাপাশি ত্বকের অন্দরে জলের মাত্রা বাড়াতে শুরু করে। ফলে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়। আর যত এমনটা হয়, তত বলিরেখা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। যে কারণে বুড়িয়ে যাওয়া ত্বক পুনরায় সুন্দর এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৫. স্কিন টোনারের কাজ করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজের অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান দেহের অন্দরে প্রবেশ করার পর কোষেদের ক্ষত দূর করে। সেই সঙ্গে নতুন কোষেদের জন্ম হারকেও বাড়িয়ে তোলে। আর স্কিন সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না। তাই এই গরমে শরীর এবং ত্বককে চাঙ্গা রাখতে সকাল-বিকাল এক বাটি করে তরমুজ খেতে ভুলবেন না যেন!
৬. ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায়: আপনার ত্বক কি বেজায় তেলতেলে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই তরমুজ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতেনাতে। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন এ, স্কিন পোরের সাইজ কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের ক্ষরণ কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে তেলতেলে ত্বকের সমস্যা কমতে সময় লাগে না।
৭. ব্রণর প্রকোপ কমায়: এই ত্বকের রোগটির কারণে কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু যত শীঘ্র সম্ভব রোজের ডায়েটে তরমুজকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে এই ফলটি অন্দরে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে ব্রণর প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
No comments:
Write Comments