অনিয়ন্ত্রিত জীবন, সেই সঙ্গে স্ট্রেস, পুষ্টির অভাব এবং আরও নানা কারণে আজ সিংহভাগের ত্বকের অবস্থা বেজায় বেহাল। ফলে সৌন্দর্য ধরে রাখতে ভরসা কেবল বাজার চলিতে নানা বিউটি প্রডাক্ট। তবে তাতেও সমস্যা। নানাবিধ স্টাডি অনুসারে আজকের ডেটে যে যে কসমেটিক্স বেজায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তার বেশিরভাগেরই অন্দরে রয়েছে ক্ষতিকারক কেমিকাল, যা সাময়িকভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ালেও ধীরে ধীরে ত্বকের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানা রোগের আক্রমণে ত্বক সৌন্দর্য তো হারায়ই, সেই সঙ্গে অসময়ে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।এমন পরিস্থিতিতে তাহলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর উপায় কী? বিশেষজ্ঞদের মতে কেমিকেল মিশ্রিত কসমেটিক্স ব্যবহার না করে যদি বেশি মাত্রায় প্রাকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে স্কিন টোনের উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে ত্বকের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। এই যেমন জামের কথাই ধরুন না! বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, তেমনি ওজন কমাতে, খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সুন্দর ত্বক পাওয়ার পাশাপাশি আয়ুও যদি বাড়াতে চান, তাহলে নিয়মিত এক বাটি করে জাম খেতে ভুলবেন না যেন!
১. ত্বকের বয়স কমায়: পরিবেশ দূষণ এবং স্ট্রেসের কারণে ত্বকের অন্দরে জন্ম নেওয়া টক্সিক উপাদানেরা ত্বকের স্বাস্থ্যের এতমাত্রায় ক্ষতি করে যে ধীরে ধীরে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার কারণে সৌন্দর্য কমতেও সময় লাগে না। এমন পরিস্থিতিতে ত্বককে বাঁচাতে দারুনভাবে সাহায্য করে জাম। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়, সেই সঙ্গে ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে নিয়মিত যেমন জাম খাওয়া শুরু করতে পারেন, তেমনি অল্প পরিমাণ জাম নিয়ে তা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
১. ত্বকের বয়স কমায়: পরিবেশ দূষণ এবং স্ট্রেসের কারণে ত্বকের অন্দরে জন্ম নেওয়া টক্সিক উপাদানেরা ত্বকের স্বাস্থ্যের এতমাত্রায় ক্ষতি করে যে ধীরে ধীরে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার কারণে সৌন্দর্য কমতেও সময় লাগে না। এমন পরিস্থিতিতে ত্বককে বাঁচাতে দারুনভাবে সাহায্য করে জাম। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়, সেই সঙ্গে ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে নিয়মিত যেমন জাম খাওয়া শুরু করতে পারেন, তেমনি অল্প পরিমাণ জাম নিয়ে তা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
২. ব্রণর প্রকোপ কমায়: এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত স্যালিসাইলেট নামক উপাদান, ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন ব্রণর প্রকোপ কমায়, তেমনি মৃত কোষেদের স্তর সরিয়ে ফেলে, সেই সঙ্গে ত্বকের ছিদ্রগুলিকে খুলে দেয়। ফলে ত্বক ফর্সা হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো জাম নিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে অল্প পরিমানে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি মুখে লাগাতে হবে। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন দারুন উপকার মিলতে শুরু করেছে।
৩. ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত জাম খাওয়া শুরু করলে অথবা জামের সাহায্যে বানানো পেস্ট মুখে লাগালে ত্বকের অন্দরে ফাইবার, ভিটামিন বি-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে নানাবিধ ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে ব্রণর প্রকোপ কমতে শুরু করে।
৪. চুলের সৌন্দর্য বাড়ে: চুলের অন্দরে জমতে থাকা মৃত কোষেদের সরিয়ে ফেলে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে জামের অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন বি এবং প্রঅ্যান্থোসায়ানিডিন্স এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল চুলের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগাতে হবে জামকে? এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো জাম নিয়ে তার একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি ভাল করে চুলে লাগাতে হবে, বিশেষত স্কাল্পে। এরপর ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা।
৫. অসময়েই চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমে: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি দেখা গেলে চুল সাদা হয়ে যেতে শুরু করে। তাই মাথা ভর্তি কুচকুচে কালো চুলকে রক্ষা করতে খেয়াল রাখা উচিত দেহের অন্দরে যাতে এই ভিটামিনটির ঘাটতি না হয়। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জাম। আসলে এই ফলটির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ভিটামিন বি১২, যা দেহের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত জাম খাওয়া শুরু করলে অথবা জামের সাহায্যে বানানো পেস্ট মুখে লাগালে ত্বকের অন্দরে ফাইবার, ভিটামিন বি-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে নানাবিধ ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে ব্রণর প্রকোপ কমতে শুরু করে।
৪. চুলের সৌন্দর্য বাড়ে: চুলের অন্দরে জমতে থাকা মৃত কোষেদের সরিয়ে ফেলে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে জামের অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন বি এবং প্রঅ্যান্থোসায়ানিডিন্স এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল চুলের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগাতে হবে জামকে? এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো জাম নিয়ে তার একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি ভাল করে চুলে লাগাতে হবে, বিশেষত স্কাল্পে। এরপর ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা।
৫. অসময়েই চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমে: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি দেখা গেলে চুল সাদা হয়ে যেতে শুরু করে। তাই মাথা ভর্তি কুচকুচে কালো চুলকে রক্ষা করতে খেয়াল রাখা উচিত দেহের অন্দরে যাতে এই ভিটামিনটির ঘাটতি না হয়। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জাম। আসলে এই ফলটির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ভিটামিন বি১২, যা দেহের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
No comments:
Write Comments