BEST BEAUTY TIPS FOR MAN AND WOMEN

I WILL PROVIDE BEST REAL TIPS FOR MAN AND WOMEN. THAT IS MUST BE NEED FOR YOU.

প্রতিদিন দুবার করে মুখে পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত কেন ?

এই গরমে প্যাচপ্যাচে ঘাম, তার উপর ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ। সেই সঙ্গে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ তো আছেই। সব মিলিয়ে ত্বকের বারোটা বেজে যেতে সময় লাগে না। ফলে সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। এমন পরিস্থিতিতে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো যায় কীভাবে সেই নিয়ে অনেকেরই নাজেহাল অবস্থা হয়। তবে আর কোনও চিন্তা নেই! কারণ এই প্রবন্ধে আলোচিত ওয়াটার থেরাপির সাহায্য যদি নিতে পারেন, তাহলে শীত হোক কী বর্ষা, এমনকি গরমকালেও ত্বককে সুন্দর রাখতে দেখবেন কোনও সমস্যাই হবে না। উল্টে সবার যখন সৌন্দর্য কমবে, তখন আপনার ত্বক হয়ে উঠবে প্রাণচ্ছ্বল এবং প্রাণবন্ত!
কী এই ওয়াটার থেরাপি, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আরে কিছুই না বন্ধু! সকাল-বিকাল ভাল করে জল ছিটিয়ে মুখ ধুতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! আসলে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে জলের ঝাপটা দেওয়া মাত্র ত্বকের অন্দরে নানা পরিবর্তন হতে শুরু করে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি বেশ কিছু স্কিন ডিজিজের প্রকোপও কমতে শুরু করে। আরে দাঁড়ান দাঁড়ান। যাচ্ছেন কই! এখনও শেষ হয়নি। ওটায়ার থেরাপির সাহায্যে
১. ত্বকের ফোলা ভাব কমে যায়: খেয়াল করে দেখবেন ঘুম থেকে ওটার পর চোখের তলা এবং মুখ বেজায় ফুলে থাকে। ফলে দেখতে বেশ খারাপই লাগে। তাই না? এক্ষেত্রে মুখে কয়েকবার ঠান্ডা জল ছেটালেই দেখবেন ফোলা ভাব কমে যেতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, রাত্রে প্রচুর মাত্রায় অ্যালকোহল খেলে পরদিন সকালে অনেক ক্ষেত্রেই মুখ এতটা ফুলে যায় যে দেখতে খুব খারাপ লাগে। এক্ষেত্রেও ওয়াটার থেরাপি কিন্তু দারুন কাজে আসে।
. ত্বক মসৃণ হয়ে ওঠে: বেশ কিছু স্টাডিতে অনুসারে ঠান্জা ডল দিয়ে সাকলে দুবার এবং রাত্রে মুখ ধুলে স্কিনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকর উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বকের ছিদ্রগুলিও বন্ধ হতে শুরু করে। ফলে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি ত্বক মসৃণ এবং প্রাণবন্তও হয়ে ওঠে।

৩. ত্বকের বয়স কমে:য়স কি ৩০ পেরিয়েছে? তাহলে বন্ধু নিয়ম করে বরফ ঠান্ডা জলে মুখ ধোয়া শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন বলিরেখা মিলিয়ে যেতে শুরু করবে, সেই সঙ্গে ত্বকের পেশি এতটাই টানটান হয়ে উঠবে যে ত্বকের বয়স কমবে চোখে পরার মতো। তাছাড়া সারা দিনের পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুলে স্কিন বেজায় তরতাজা হয়ে ওটে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।

৪. অতিবেগুনি রশ্মির খারাপ প্রভাব কম পরে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধোয়া মাত্র স্কিন পোরসগুলি বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্যের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই তো গরমকালে সকাল-বিকাল ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

৫. ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে: বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্থুতি নিচ্ছেন। এদিকে অফিসের চাপে ঝিমিয়ে পরা ত্বককে কীভাবে সুন্দর করে তুলবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না? কোনও চিন্তা নেই! ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে কয়েক মিনিট মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন নিমেষে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। আসলে জলের ঝাপটা দিলে ত্বকের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। যে কারণে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।


1 comment:
Write Comments