BEST BEAUTY TIPS FOR MAN AND WOMEN

I WILL PROVIDE BEST REAL TIPS FOR MAN AND WOMEN. THAT IS MUST BE NEED FOR YOU.

দাড়ির যত্ন নেবেন কীভাবে?দেখে নিন

দাড়ির যত্ন  নেবেন  যে বাবে : 

প্রতিটি মানুষই নিজেকে সুন্দর রাখতে চান, এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তাই, ফ্যাশন হোক বা সাজসজ্জা, মেয়েদের পাশাপাশি সমান তালে তাল মিলিয়েছে ছেলেরাও। নিজেকে সুন্দর ও হট লুকস্ দিতে পার্লারে ভিড় জমাচ্ছেন তারাও। বহু বছর আগে ক্লিন শেভ ছিল ছেলেদের বেশ পছন্দের ফ্যাশন। কিন্তু, বর্তমান দিনে একমুখ দাড়ি রাখাই ছেলেদের ফ্যাশনের অন্যতম হাতিয়ার। দাড়ির পাশাপাশি গোঁফও জায়গা করে নিয়েছে ফ্যাশন দুনিয়ায়। টিন-এজ থেকে বয়স্ক, গাল ভর্তি দাড়ি রাখতে সকলেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন আজকাল। আমেরিকার এক সমীক্ষা অনুযায়ী, যে পুরুষেরা দাড়ি রাখেন, তাদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে, শুধু ফ্যাশন বা লুকস্-এর জন্য দাড়ি রাখলে হবে না, নিতে হবে দাড়ির সঠিক যত্ন। নিজের স্মার্ট চেহারাটিকে ধরে রাখতে দাড়ির যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনিও যদি দাড়ি রাখতে চান বা দাড়ি রেখেছেন, তবে জেনে নিন কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার শখের দাড়ির।   


১) ধৈর্য্য ধরুন এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস্। কারণ, দাড়ি বাড়ানো এবং দাড়িকে সঠিক শেপে সাজানো একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যার জন্য নিজের প্রচেষ্টা, সময় এবং ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। এটি এমন কোনও প্রক্রিয়া নয় যা, কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যায়। একমুখ দাড়ি রাখার ইচ্ছেকে পূর্ণ করতে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, রোজ ব্যায়াম করুন, ভাল করে বিশ্রাম নিন, সকালে তাড়াতাড়ি উঠুন এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।

২) ডায়েট মেনে চলুন আপনার ডায়েট, চেহারার পাশাপাশি দাড়ির উপরেও প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যকর দাড়ি বজায় রাখতে পুষ্টিকর খাবারের উপরে জোর দিন। ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধযুক্ত খাবার খান। বাদাম, ডিম, মাংস, সবুজ শাকসবজী এবং দুধ আপনার ডায়েটে অবশ্যই রাখুন। যতটা সম্ভব জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলুন।


৩) নিয়মিত চিরুনি দিন সুন্দর দাড়ি পেতে, চুলের মত রোজ দাড়িও আঁচড়ানো প্রয়োজন। নিয়মিত দাড়ি আঁচড়ানো কেবল জট পাকা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে তা না, পাশাপাশি, এটি আপনার দাড়ির শেপকেও ঠিক রাখে। ভালোভাবে আঁচড়ানো দাড়িকে আপনি অনায়াসে নিজের ইচ্ছেমতো বিভিন্ন স্টাইলে পরিণত করতে পারবেন। দাড়ি পরিষ্কার রাখার জন্য ছোট ব্রিশেলস-এর চিরুনি ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল।


৪) পরিষ্কার রাখুন চুলের মত দাড়িকেও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। যখন আপনার দাড়ি খুব বড় আকার ধারণ করে তখন এটি বেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। কারণ, ত্বকের মৃত কোষগুলি দাড়িতে জমা হয় এবং ব়্যাশের সৃষ্টি করে। যা থেকে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। সুতরাং, রোজ আপনার দাড়ি পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দাড়ি ধোয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপাদানগুলির সাথে হালকা সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

৫) কন্ডিশনিং করুন মাথার চুলের মতই আপনার দাড়িকে নরম রাখতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন এবং কয়েক মিনিট পর এটি ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। দাড়ি শুকানোর জন্য ব্যবহার করুন নরম তোয়ালে। মনে রাখবেন, গায়ে ব্যবহার করা সাবান দিয়ে দাড়ি পরিষ্কার করবেন না। উন্নত মানের টক্সিন ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে দাড়ি পরিষ্কার করুন এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। 


৬) এটি ময়েশ্চারাইজড রাখুন কন্ডিশনার ব্যবহারের পর দাড়িকে ময়েশ্চারাইজ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। দাড়ির যত্ন নেওয়ার অনেকগুলি পণ্য রয়েছে, যেগুলি আপনার দাড়িকে ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এগুলি ব্যবহারে ত্বকের চুলকুনি প্রতিরোধ হয় এবং ত্বককে আর্দ্র করে। পাশাপাশি, দাড়ি ও ত্বককে নরম রাখতে ব্যবহার করুন নারকেল তেল, বেবি অয়েল, ভিটামিন-ই সমৃদ্ধি তেল অথবা এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল। 

৭) অ্যালোভেরা জেল আমরা জানি যে, ত্বক এবং চুলের জন্য অ্যালোভেরা খুবই উপকারি। কারণ, অ্যালোভেরা হল এনজাইমের অন্যতম উৎস। ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষগুলিকে দূরে সরিয়ে ত্বক এবং দাড়ির গোড়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এটি। তাই, রোজ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন এবং দাড়িতে আনুন একস্ট্রা সাইন। 


৮) সময়মতো ট্রিম করুন চুলের মতোই আপনার দাড়িও সময়মতো ট্রিম করা দরকার। এটি আপনার দাড়ির ক্ষতি রোধ করতে সহায়তা করে। দাড়ি কাটতে একটি ভাল গ্রুমিং কিট বা ট্রিমারের সাহায্য নিন। এতে দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। প্রতি দুই মাস অন্তর একবার দাড়ি ট্রিম করা প্রয়োজন।


No comments:
Write Comments