BEST BEAUTY TIPS FOR MAN AND WOMEN

I WILL PROVIDE BEST REAL TIPS FOR MAN AND WOMEN. THAT IS MUST BE NEED FOR YOU.

ঠান্ডা জলের জায়গায় গরম জল খাওয়া শুরু করলে ত্বকের কত উপকার হয় জানেন?

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সারা দিন ধরে ইষদুষ্ণ জল খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরের অন্দরে বেশ কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে দেহের কর্মক্ষমতা তো বৃদ্ধি পায়ই, সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। একেবারেই ঠিক শুনেছেন! ত্বকের পরিচর্যায় বাস্তবিকই গরম জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে গরম জল খাওয়া মাত্র আমাদের শরীর এবং ত্বকের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদান বা বিষেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পেটের রোগের প্রকোপ কমে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, ওজন হ্রাস পায় এবং সারা শরীরে রক্তের প্রবাহে মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় ন[ 
গরম জল খেলে শরীরের যে একাধিক উন্নতি ঘটে, সে সম্পর্ক না হয় জানা গেল। কিন্তু এই অভ্যাসের সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ার সম্পর্কটা ঠিক কোথায়, তা তো জানা গেলে না। প্রসঙ্গত, সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে গরম জল খেলে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। ফলে অনেক উপকার মেলে। যেমন...
১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে: অল্প দিনেই উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারি হতে চান কি? তাহলে আজ থেকেই গরম জল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই স্বপ্ন পূরণ হবে। আসলে গরম জল শরীরে অন্দরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন ত্বকের গভীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বেরিয়ে যায়, তেমনি কোলাজেনের উৎপাদনও বাড়তে থাকে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
২. ত্বকের বয়স কমে: সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কিছু সমীক্ষা পত্র অনুসারে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের মেট্রো শহরগুলিতে মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবেশে দূষণ, যার প্রভাবে ত্বকের এত মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে যে সময়ের আগেই বুড়িয়ে যাচ্ছে স্কিন। সেই সঙ্গে বাড়ছে একাধিক স্কিন ডিজিজের প্রকোপও। এমন পরিস্থিতিতে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে গরম জল খাওয়ার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে সারা দিন ধরে গরম জল খাওয়া শুরু করলে পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানেরা সেভাবে ত্বকের বড় কোনও ক্ষতিসাধন করতে পারবে না। সেই সঙ্গে স্কিনের ইলাস্ট্রিসিটও বাড়তে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক বুড়িয়ে গিয়ে সৌন্দর্য কমে যাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

৩. ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে গরম জল খাওয়া মাত্র শরীরের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর হতে শুরু করে, সেই সঙ্গে দেহের ভিতরে তাপমাত্রাও বাড়াতে থাকে। শুধু তাই নয়, মাথা থেকে পা পর্যন্ত অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ড্রাই স্কিনের সমস্যা কমতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বক হয়ে ওঠে বেজায় তুলতুলে।
৪. সংক্রমণের প্রকোপ কমে: একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত গরম জল খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে উপস্থিত সংক্রমণ সৃষ্টি করা উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রণ, পিম্পল এবং অন্যান্য ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৫. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: গরম জল খাওয়া শুরু করলে চুলের অন্দরে থাকা কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন হেয়ার ফলের পরিমাণ কমে, তেমনি চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাই চুলকে সুন্দর করে তুলতে নিয়মিত গরম জল খেতে ভুলবেন না যেন!
৬. খুশকির প্রকোপ কমে: একেবারেই ঠিক শুনেছেন, খুশকির সমস্যা কমাতে বাস্তবিকই গরম জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে হলকা গরম জল খাওয়া শুরু করলে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুশকির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
৭. চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়: নিয়মিত গরম জল খাওয়া শুরু করলে স্কাল্পের অন্দরে থাকা নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের গোড়া এতটাই শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে চুলের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না। তাই অল্প দিনেই যদি উজ্জ্বল, ঝলমলে চুলের অধিকারি হয়ে উঠতে চান, তাহলে এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগাতে

অল্প দিনেই ফর্সা ত্বক পেতে চান? তাহলে বেসন দিয়ে বানানো এই ফেস মাস্কগুলি ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন!

কেমিকেল মিশ্রিত কসমেটিক্স ব্যবহার করে ফর্সা হওয়া তো সম্ভব। কিন্তু এমনটা করতে গিয়ে ত্বকের যে বারোটা বেজে যায়, সে বিষয়ে কখনও ভেবে দেখেছেন? তাই একান্তই যদি স্কিন টোনের উন্নতি ঘটাতে চান, তাহলে বন্ধ করুন ফেয়ারনেস ক্রিমের ব্যবহার। পরিবর্তে কাজে লাগাতে শুরু করুন বেসনকে। তাহলেই দেখবেন ত্বকের কোনও ক্ষতি ছাড়াই ধীরে ধীরে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ত্বক হয়ে উঠবে তুলতুলে এবং প্রাণবন্ত। এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে কাজে লাগাতে হবে বেসনকে? ত্বকের পরিচর্যায় সরাসরি বেসনের ব্যবহার সম্ভব নয়। তাই বেসনের সঙ্গে নানাবিধ প্রকৃতিক উপদানকে মিশিয়ে একটা ফেস প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেটি লাগাতে হবে মুখে। এইভাবে নিয়মিত যদি ত্বকের দেখভাল করতে পারেন, তাহলে সুন্দর ত্বকের অধিকারি হয়ে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে ত্বকের উপর যেমন সূর্যের ক্ষতিকারক প্রভাব কম পরবে, তেমনি নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যাবে কমে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন বেসনকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. বেসন এবং ভাতের ফ্যান: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভাতের ফ্যানের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর যদি বেসনের সঙ্গে এই উপাদানটি মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! সেক্ষেত্রে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময়ই লাগে না। এক্ষেত্রে ২ চামচ বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো ভাতের ফ্যান মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে মিশ্রনটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন মুখটা। এইভাবে সপ্তাহে কম করে ৩-৪ দিন ত্বকের পরিচর্যা করলেই দেখবেন সুফল মিলতে শুরু করেছে।
২. বেসন এবং দই: দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড, ত্বকের উপরিংশে জমতে থাকা মৃত কোষের স্থরকে সরিয়ে ফেলে। আর যখন দইকে বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগানো হয়, তখন স্কিন টোনের উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেতেও সময় লাগে না। এক্ষেত্রে ২ চামচ দইয়ের সঙ্গে ২ চামচ বেসন মিশিয়ে একটি মিশ্রন বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তা মুখে লাগিয়ে কম করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিয়ে অল্প পরিমাণে মসেশ্চারাইজিং ক্রমি লাগিয়ে নিতে হবে মুখে।
৩. বেসন এবং মধু: কালো ছোপ ছোপ দাগ কমিয়ে ফেলার পাশাপাশি ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এই ফেস প্যাকটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চসে। এই প্যাকটি বানাতে প্রয়োজন পরবে ১ চামচ মধু এবং ২ চামচ ময়দার। এই দুটি উপাদান ভাল করে মিশিয়ে বানানো পেস্ট মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। যখন দেখবেন পেস্টটা একেবারে শুকিয়ে গেছে, তখন ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে মুখটা ধুয়ে, পছন্দের কোনও সিরাম মুখে লাগিয়ে নিতে হবে।
৪. ময়দা এবং ডিমের কুসুম অংশ: ডিমের অন্দরে উপস্থিত প্রোটিন এবং উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিড ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে এত মাত্রায় পুষ্টির ঘাটতি দূর করে যে, যে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না। আর যখন ডিমকে বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগানো হয়, তখন আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে স্কিন সেলের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে বানাতে হবে এই ফেস প্যাকটি? একটা ডিমের কুসুম সংগ্রহ করে ভাল করে তা ফেটিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে ১ চামচ বেসন মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি ব্রাশের সাহায্যে এই মিশ্রনটি ভাল করে লাগিয়ে ফেলতে হবে সারা মুখে। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা।
৫. বেসন এবং পেঁপে: পরিমাণ মতো পেঁপে নিয়ে তাতে ২-৩ চামচ ময়দা মিশিয়ে বানাতে হবে এই ফেস মাস্কটি। পেস্টটি বানানো হয়ে গেলে সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। এই ফেস মাস্কটিকে কাজে লাগালে ত্বকের অন্দরে বিটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করবে। ফলে যে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে ডার্ক সার্কেল কমবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
৬. ময়দা এবং হলুদ: ব্রণর প্রকোপ কামনোর পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নানাবিধ স্কিন ডিজিজকে দূরে রাখতে এই ফেল মাস্কটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই অল্প দিনেই যদি সুন্দর ত্বক পেতে চান, তাহলে সম পরিমাণে বেসন, হলুদ এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন মুখটা। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ৩-৪ দিন যদি এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে!

নিয়মিত তরমুজ খেলে ত্বকের কত উপকার হয় জানা আছে?

আজকের ডেটে সবাই সুন্দরি হয়ে উঠতে চান। তাই না গত কয়েক দশকে ফেয়ারনেস ক্রিমের বাজার এত চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে এইসব ক্রিম মোটেও স্কিন টোনের উন্নতি ঘটাতে পারে না, বরং ধীরে ধীরে অবনতি ঘটায় ত্বকের স্বাস্থ্যের। তাই বাস্তবিকই যদি সুন্দরি হয়ে উঠতে চান, তাহলে কেমিকাল মেশানো ক্রিম ব্যবহার বন্ধু করুন। পরিবর্তে কাজে লাগাতে শুরু করুন তরমুজকে। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কিন্তু তরমুজের সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়া বা কমার কি সম্পর্ক? দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এই ফলটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং বি। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, পটাশিয়াম, উপকারি ফ্যাট এবং আরও অনেক উপকারি উপাদান, যা শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, তেমনি দেহের অন্দরে প্রদাহ কমাতে, ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখতে, পেশির কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ত্বককে ফর্সা করে তোলার পাশাপাশি একাধিক ত্বকের রোগের চিকিৎসাতে এই ফলটি দারুনভাবে কাজে আসে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...
১. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজের অন্দরে উপস্থিত আর্জিনাইন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর সারা দেহের পাশাপাশি চুলের গোড়াতেও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে চুল পড়ার হারও কমতে থাকে। তাই অল্প বয়সেই যদি টাকলু হয়ে যেতে না চান, তাহলে এই গরমে নিয়মিত তরমুজ খেতে ভুলবেন
২. নানাবিধ স্কাল্পের রোগের প্রকোপ কমে: তরমুজে উপস্থিত ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তকে পরিশুদ্ধ করে। সেই সঙ্গে আয়রনের মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলে, যার প্রভাবে স্কাল্পের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। ফলে একদিকে যেমন চুলের বৃদ্ধি ঘটে, তেমনি নানা ধরনের স্কাল্পের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ত্বক এবং চুলের অন্দরে কোলাজেনের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সময় লাগে না।
৩. স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে: স্কাল্প তার আদ্রতা হারালে খুশকির মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই চুলের গোড়া কখনও যাতে শুষ্ক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! তরমুজের বীজ থেকে তৈরি তেল নিয়ে ভাল করে স্কাল্পে লাগিয়ে মাসাজ করুন। এমনটা নিয়মিত করলে দেখবেন স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। ফলে খুশকির সমস্য়া মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমবে।

৪. ত্বকের বয়স কমায়: নিয়মিত এই ফলটি খাওয়া শুরু করলে দেহের পাশাপাশি ত্বকের অন্দরে জলের মাত্রা বাড়াতে শুরু করে। ফলে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়। আর যত এমনটা হয়, তত বলিরেখা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। যে কারণে বুড়িয়ে যাওয়া ত্বক পুনরায় সুন্দর এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৫. স্কিন টোনারের কাজ করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজের অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান দেহের অন্দরে প্রবেশ করার পর কোষেদের ক্ষত দূর করে। সেই সঙ্গে নতুন কোষেদের জন্ম হারকেও বাড়িয়ে তোলে। আর স্কিন সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না। তাই এই গরমে শরীর এবং ত্বককে চাঙ্গা রাখতে সকাল-বিকাল এক বাটি করে তরমুজ খেতে ভুলবেন না যেন!
৬. ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায়: আপনার ত্বক কি বেজায় তেলতেলে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই তরমুজ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতেনাতে। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন এ, স্কিন পোরের সাইজ কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের ক্ষরণ কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে তেলতেলে ত্বকের সমস্যা কমতে সময় লাগে না।

৭. ব্রণর প্রকোপ কমায়: এই ত্বকের রোগটির কারণে কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু যত শীঘ্র সম্ভব রোজের ডায়েটে তরমুজকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে এই ফলটি অন্দরে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে ব্রণর প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

প্রতিদিন একবাটি করে জাম খেলে ত্বক হয়ে উঠবে ফর্সা এবং তুলতুলে!

অনিয়ন্ত্রিত জীবন, সেই সঙ্গে স্ট্রেস, পুষ্টির অভাব এবং আরও নানা কারণে আজ সিংহভাগের ত্বকের অবস্থা বেজায় বেহাল। ফলে সৌন্দর্য ধরে রাখতে ভরসা কেবল বাজার চলিতে নানা বিউটি প্রডাক্ট। তবে তাতেও সমস্যা। নানাবিধ স্টাডি অনুসারে আজকের ডেটে যে যে কসমেটিক্স বেজায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তার বেশিরভাগেরই অন্দরে রয়েছে ক্ষতিকারক কেমিকাল, যা সাময়িকভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ালেও ধীরে ধীরে ত্বকের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানা রোগের আক্রমণে ত্বক সৌন্দর্য তো হারায়ই, সেই সঙ্গে অসময়ে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।এমন পরিস্থিতিতে তাহলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর উপায় কী? বিশেষজ্ঞদের মতে কেমিকেল মিশ্রিত কসমেটিক্স ব্যবহার না করে যদি বেশি মাত্রায় প্রাকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে স্কিন টোনের উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে ত্বকের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। এই যেমন জামের কথাই ধরুন না! বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, তেমনি ওজন কমাতে, খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সুন্দর ত্বক পাওয়ার পাশাপাশি আয়ুও যদি বাড়াতে চান, তাহলে নিয়মিত এক বাটি করে জাম খেতে ভুলবেন না যেন!
১. ত্বকের বয়স কমায়: পরিবেশ দূষণ এবং স্ট্রেসের কারণে ত্বকের অন্দরে জন্ম নেওয়া টক্সিক উপাদানেরা ত্বকের স্বাস্থ্যের এতমাত্রায় ক্ষতি করে যে ধীরে ধীরে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার কারণে সৌন্দর্য কমতেও সময় লাগে না। এমন পরিস্থিতিতে ত্বককে বাঁচাতে দারুনভাবে সাহায্য করে জাম। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়, সেই সঙ্গে ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে নিয়মিত যেমন জাম খাওয়া শুরু করতে পারেন, তেমনি অল্প পরিমাণ জাম নিয়ে তা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
২. ব্রণর প্রকোপ কমায়: এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত স্যালিসাইলেট নামক উপাদান, ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন ব্রণর প্রকোপ কমায়, তেমনি মৃত কোষেদের স্তর সরিয়ে ফেলে, সেই সঙ্গে ত্বকের ছিদ্রগুলিকে খুলে দেয়। ফলে ত্বক ফর্সা হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো জাম নিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে অল্প পরিমানে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি মুখে লাগাতে হবে। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন দারুন উপকার মিলতে শুরু করেছে।
৩. ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত জাম খাওয়া শুরু করলে অথবা জামের সাহায্যে বানানো পেস্ট মুখে লাগালে ত্বকের অন্দরে ফাইবার, ভিটামিন বি-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে নানাবিধ ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে ব্রণর প্রকোপ কমতে শুরু করে।
৪. চুলের সৌন্দর্য বাড়ে: চুলের অন্দরে জমতে থাকা মৃত কোষেদের সরিয়ে ফেলে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে জামের অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন বি এবং প্রঅ্যান্থোসায়ানিডিন্স এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল চুলের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগাতে হবে জামকে? এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো জাম নিয়ে তার একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি ভাল করে চুলে লাগাতে হবে, বিশেষত স্কাল্পে। এরপর ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা।
৫. অসময়েই চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমে: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি দেখা গেলে চুল সাদা হয়ে যেতে শুরু করে। তাই মাথা ভর্তি কুচকুচে কালো চুলকে রক্ষা করতে খেয়াল রাখা উচিত দেহের অন্দরে যাতে এই ভিটামিনটির ঘাটতি না হয়। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জাম। আসলে এই ফলটির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ভিটামিন বি১২, যা দেহের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সুন্দরী হয়ে উঠতে পাতি লেবু কীভাবে সাহায্য করে জানা আছে?

বাঙালি পদে পাতি লেবুর ব্যবহার সেভাবে না হলেও বড়ি দিয়ে মাছের ঝোল হোক কি ডাল, গরম ভাতের সঙ্গে পাতি লেবু খাওয়ার চল রয়েছে বাঙালি খাদ্যরসিকদের মধ্যে। সেই কারণেই তো বাঙালিরা এত সুন্দর ত্বকের অধিকারি হয়ে থাকেন। অনেকেই বলে থাকেন বেশি মাত্রায় মাছ খাওয়ার কারণেই নাকি বাঙালিদের ত্বক এত সুন্দর হয়। কথাটা একেবারে যে ভুল, এমন নয়, তবে এক্ষেত্রে পাতি লেবুর অবদানকে ভুলে গেলে কিন্তু ভুল কাজ হবে। নিশ্চয় ভাবছেন পাতি লেবু খাওয়ার সঙ্গে ত্বকের ভাল-মন্দের কী সম্পর্ক, তাই তো? আসলে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত পাতি লেবু খাওয়া শুরু করলে ত্বকের স্বাস্থ্যের মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। এখানেই শেষ নয়, লেবুর রসকে কাজে লাগিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করলে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...
১. ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে: ডার্মাটোলজিস্টদের মতে ত্বকের অন্দরে যত আদ্রতা ফিরতে থাকে, তত স্কিনের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, অসময়ে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কাও কমে। তাই যে কোনও ঋতুতে ত্বককে যদি আদ্র রাখতে হয়, তাহলে লেবুকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো লেবুর রসের সঙ্গে সম পরিমাণ ডাবের জলে মিশিয়ে মুখে লাগান। এমনটা করলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা তো ফিরে আসবেই, সেই সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতেও সময় লাগবে না।

২. কুনুইয়ের কালো দাগ দূর হবে: খেয়াল করে দেখবেন অনেকেরই গোড়ালি এবং কুনুইয়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেয়। ফলে শরীরের সৌন্দর্য কমতে সময় লাগে না। আপনিও যদি একই সমস্যার শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে অর্ধেক লেবু নিয়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ যেখানে হয়েছে ,সেখানে ঘোষতে থাকুন। কয়েকদিন এমনটা করলেই দেখবেন কালা দাগ মিলিয়ে গেছে।
৩. ব্ল্যাক হেডকে নিমূল করে: সারা মুখ কি ব্ল্যাক হেডসে ভরে গেছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই লেবু রাজে লাগিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করা শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল ব্ল্যাক হেডসকে দূর করতে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে লেবুর রসকে। এক্ষেত্রে একটা লেবু থেকে সংগৃহীত রস সারা মুখে লাগাতে হবে। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন ধীরে ধীরে সমস্যা কমে গেছে।

৪. ত্বককে পরিষ্কার রাখে: সারা দিন পরিবেশ দূষণের মারে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের পরিচর্যা করতে লেবুর রসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই দিনের শেষে বাড়িতে ফিরে অল্প পরিমান লেবুর রসের সঙ্গে ট্রি-টি অয়েল মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। তারপর তা দিয়ে সারা মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে ফেলুন। এমনটা নিয়মিত করলে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি তো ঘটবেই, সেই সঙ্গে স্কিনের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো।
৫. হলুদ দাঁতকে সাদা করে: অতিরিক্তি মাত্রায় চা পান, ধূমপান এবং আরও নানা কারণে অনেকেরই দাঁতে হলুদ ছোপ ছোপ দাগ হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাঁতের সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। এমনটা যদি আপনার সঙ্গেও ঘটে থাকে, তাহলে আজই লেবুর সাহায্য নিন। দেখবেন দাঁত ধপধপে সাদা হয়ে উঠতে সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ খাবার সোডার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তা দিয়ে নিয়ম করে দাঁত মাজতে হবে। এমনটা কয়েক সপ্তাহ করলেই দেখবেন হলুদ দাঁত, সাদা হতে শুরু করেছে।
৬.ত্বককে ফর্সা করে তোলে: লেবুর অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে ক্ষতিকারক টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা যেমন বাড়ে, তেমনি স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। তাই অল্প দিনেই যদি ফর্সা ত্বকের অধিকারি হতে চান, তাহলে নিয়ম করে লেবুর রস মুখে লাগাতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত,ডার্ক স্পট দূর করার পাশাপাশি বলিরেখা কমাতেও লেবুর রসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৭. চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়: নিয়মিত লেবুর রস চুলে এবং স্কাল্পে লাগালে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে একদিকে যেমন হেয়ার ফল কমতে শুরু করে। তেমনি চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, খুশকি এবং ড্রাই স্কাল্পের মতো সমস্যা কমাতেও লেবুর রস দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।

নিয়মিত আনারস খেলে সত্যিই কি ত্বকের উপকার হয়?

বেশ কিছু গবেষণা দেখা গেছে রোজের ডায়েটে এই ফসলটিকে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে এমন কিছু উপকারি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন চোখে পরার মতো বেড়ে যায়। ফলে ফর্সা ত্বক পওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বকের সার্বিক সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।ভাববেন না আনারস শুধু ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, চিকিৎসকদের মতে এই ফলটি ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে। সেই সঙ্গে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতিতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে নিয়মিত আনারস খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং হজম ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি ঘটে। তাই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি যদি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে চান, তাহলে আনারসের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে ভুলবেন না যেন!তাহলে আর অপেক্ষা কেন, আনারস কী কী ভাবে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে আসতে পারে, চলুন জানার চেষ্টা করা যাক সে সম্পর্কে।               ১. ব্রণর প্রকোপ কমায়: এই ফলটির অন্দরে থাকা ভিটামিন সি, ত্বকের অন্দরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মেরে ফেলে। ফলে শুধু ব্রণ নয়, যে কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, আনারসে উপস্থিত ব্রমেলিন নামক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এনজাইমও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্রণর চিকিৎসায় নিয়মিত আনারসের রস খেতে হবে। সেই সঙ্গে আনারসকে কাজে লাগিয়ে বানানো ফেস প্যাক যদি মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
২. ত্বকের বয়স কমে: শরীরের বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স যেন না বাড়ে, এমনটা যদি চান, তাহলে সপ্তাহে কম করে ৩ দিন আনারস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ত্বকের বয়স তো কমবেই, সেই সঙ্গে স্কিন তুলতুলে এবং নরম হয়ে উঠবে। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান, ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বকের ইলাস্ট্রিসিটি যেমন বাড়ে, তেমনি সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। ফলে স্কিন এজিং-এর আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, আনারসে থাকা ভিটামিন সি এবং বেশ কিছু উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিডও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকের বয়স কমাতে আনারস খাওয়া যেমন শুরু করতে পারেন, তেমনি আনারসের রস মুখে লাগালেও সমান উপকার পাওয়া
৩. মৃত কোষের স্তর সরে যায়: প্রতি মুহূর্তে মৃত কোষেরা আমাদের ত্বকের উপর জনতে থাকে। এই কারণেই তো ত্বকের সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক যদি না চান, তাহলে নিয়মিত আনারস মুখে লাগান, দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে এমনটা করলে ডেড সেলের আবরণ সরে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৪. ফাটা গোড়ালির পরিচর্যায় কাজে আসে: শুধু শীতকাল কেন, অনেকেই আছেন যাদের সারা বছরই ফাটা গোড়ালির যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিম লাগানে ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু জানা আছে কি আনারসের বহিরাংশকে কাজে লাগিয়ে ফাটা গোড়ালির সমস্যাকে চিরতরে কমিয়ে ফেলা সম্ভব? একেবারেই ঠিক শুনেছেন! আনারসের অল্প পরিমাণ স্কিন নিয়ে গোড়ালিতে ঘষতে লাগলে এমন সমস্যা কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে গোড়ালির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৫. ত্বকের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ত্বক তার আদ্রতা হারালে বলিরেখা প্রকাশ পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে যদি আনারসকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার মেলে। আসলে এই ফলটি ত্বকের ভিতরে জল এবং পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিনের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। আর এমনটা হওয়া মাত্র ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে ৩ চামচ আনারসের সঙ্গে ডিমের কুসুম এবং অল্প পরিমাণ দুধ মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তা মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে হলকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে মুখটা।
৬. হেয়ার ফল কমায়: চুল পড়ার হার কি বেড়ে গেছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই আনারসকে কাজে লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। আসলে এই ফলটির অন্দরে থাকা ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়, সেই সঙ্গে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। এমনটা হওয়া মাত্র হেয়ার ফল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, হেয়ার ফল কমাতে প্রতিদিন এক বাটি করে আনারস খেতে হবে। এমনটা করলে ফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে।

চকোলেট খেলে কি সত্যিই ত্বকের ক্ষতি হয়?

একটা গুজব বেশ কয়েকদিন ধরেই এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করছে। তাই ভাবলাম সত্যের খোঁজ না লাগালে বেজায় বিপদ! কারণ ৮-৮০ সবাই প্রায় কম-বেশি চকোলেট খেলে থাকেন। আর বাস্তবিকই যদি চকোলেট খেলে ত্বকের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, তাহলে তো বেজায় চিন্তার বিষয়। চিন্তার কোনও কারণ নেই! কারণ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাধারণ চকোলেট হোক কি ডার্ক চকোলেট, যেটাই খান না কেন, ত্বকের কোনও ক্ষতিই হয় না, উল্টে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করলে ত্বকের আরও বেশ কিছু উপকার হয়। যেমন
১. টক্সিক উপাদানেরা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে না: স্বাদে সামান্য তেঁতো হলেও ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডার্ক চকোলেটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা ত্বকের গভীরে লুকিয়ে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে ত্বক তুলতুলে হয়ে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্কিন টোনেরও উন্নতি ঘটে। তাই অল্প দিনেই যদি ফর্সা ত্বকের অধিকারি হয়ে উঠতে চান, তাহলে রোজের ডায়েটে ডার্ক চকোলেটকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!

২. আলট্রাভায়োলেট রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি কম হয়: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে চকোলেটে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ত্বকের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন করে, যার প্রভাবে অতি বেগুণি রশ্মির কারণে ত্বকের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে সূর্য রশ্মির কারণে ত্বক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই এই গরমে যদি ত্বককে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে হয়, তাহলে ডার্ক চকোলেট খেতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে চকোলেটকে গলিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তা মুখে লাগাতে হবে। এমনটা প্রতিদিন করতে পারলে দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই এই মারণ রোগের থেকে যদি দূরে থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত চকোলেট খেতে ভুলবেন না যেন!
৩. ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়: শরীর এবং ত্বকের সৌন্দর্য তখনই বৃদ্ধি পায়, যখন পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। তাই ত্বকের সৌন্দর্য যদি বাড়াতে হয়, তাহলে স্কিনের অন্দরে যাতে কোনও সময় পুষ্টির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ডার্ক চকোলেট। আসলে এতে উপস্থিত ভিটামিন, মিনারেল এবং উপকারি খনিজ, যা নানাভাবে ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই চাকরি এবং পারিবারিক জীবনের হাজারো স্ট্রেসের মাঝেও যদি ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হয়, তাহলে ত্বকের পরিচর্যায় চকোলেটকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
৪.ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়: পরিমাণ মতো ডার্ক চকোলেট নিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর তা ত্বকে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে স্কিন উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতেও সময় লাগবে না। আসলে ডার্ক চকোলেটের সাহায্যে ত্বকের পরিচর্যা করলে স্কিনের উপরিংশে জমতে থাকা মৃত কোষের আবরণ সরে যায়। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে চোখে পরার মতো।
৫. হেয়ার ফলের মাত্রা কমায়: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে মাত্রাতিরিক্তি স্ট্রেস এবং পরিবেশ দূষণের কারণে প্রায় সবারই চুল পড়ার হার মাত্রাতিরিক্তি হারে বৃদ্ধি পয়েছে। যে কারণে অসময়ে মাথা ফাঁকা হওয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটছে আকছাড়। এমন পরিস্থিতিতে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে কাজে লাগাতে পারেন চকোলেটকে। এক্ষেত্রে করল চকোলেট স্কালে লাগাতে হবে, নয়তো নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করতে হবে। এমনটা করলে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। সেই সঙ্গে স্কাল্পের অন্দরে রক্ত চলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে চুল এত শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে যে হেয়ার ফলের মাত্রা কমতে সময় লাগবে না।
৬. স্কাল্পে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে: স্কাল্পে ক্ষতিকর জীবাণুর মাত্রা বাড়তে থাকলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতেও সময় লাগে না। এক্ষেত্রেও যদি চকোলেটকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে ডার্ক চকোলেটের অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সংক্রমণের প্রকোপ তো কমায়ই, সেই সঙ্গে স্কিল্পের অন্দরে প্রদাহের মাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের স্কাল্প সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।